যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ নির্ধারণ করেছে, যা ভারতের তুলনায় ১১ শতাংশ এবং পাকিস্তানের তুলনায় ৮ শতাংশ বেশি। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন শুল্ক নীতির অংশ হিসেবে এই ঘোষণা দেন। এতদিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক ছিল। খবর রয়টার্সের।
শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা
বুধবার (২ এপ্রিল) স্থানীয় সময় বিকেল চারটায় হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ঘোষণা দেন। দিনটিকে ‘অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দিবস’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “কয়েক দশক ধরে আমাদের দেশকে দূরের ও কাছের বন্ধু ও শত্রু নির্বিশেষে বিভিন্ন দেশ লুট এবং ধ্বংস করেছে।”
বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের প্রভাব
বাংলাদেশ প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৮৪০ কোটি (৮.৪ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে, যার মূল অংশই তৈরি পোশাক। ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ছিল ৭৩৪ কোটি (৭.৩৪ বিলিয়ন) ডলার।
বিশ্লেষকদের মতে, নতুন শুল্ক হার বাংলাদেশের রপ্তানি প্রতিযোগিতা কমিয়ে দেবে এবং তৈরি পোশাক শিল্পের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।
বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক হার
নতুন নীতিতে বিভিন্ন দেশের জন্য নির্ধারিত শুল্ক হার হলো—
🔹 ভারত: ২৬%
🔹 পাকিস্তান: ২৯%
🔹 চীন: ৩৪%
🔹 ইউরোপীয় ইউনিয়ন: ২০%
🔹 ভিয়েতনাম: ৪৬%
🔹 শ্রীলঙ্কা: ৪৪%
🔹 তাইওয়ান: ৩২%
🔹 জাপান: ২৪%
🔹 দক্ষিণ কোরিয়া: ২৫%
🔹 থাইল্যান্ড: ৩৬%
🔹 সুইজারল্যান্ড: ৩১%
🔹 ইন্দোনেশিয়া: ৩২%
🔹 মালয়েশিয়া: ২৪%
🔹 কম্বোডিয়া: ৪৯%
🔹 যুক্তরাজ্য: ১০%
🔹 দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩০%
🔹 ব্রাজিল: ১০%
🔹 সিঙ্গাপুর: ১০%
🔹 ইসরায়েল: ১৭%
🔹 ফিলিপাইন: ১৭%
🔹 চিলি: ১০%
🔹 অস্ট্রেলিয়া: ১০%
🔹 তুরস্ক: ১০%
🔹 কলম্বিয়া: ১০%
🔹 মিয়ানমার: ৪৪%
🔹 লাওস: ৪৮%
🔹 মাদাগাস্কার: ৪৭%
গাড়ির ওপর নতুন শুল্ক
যুক্তরাষ্ট্রে সব ধরনের বিদেশি গাড়ির আমদানিতে ২৫% শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই নতুন শুল্ক নীতি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বড় পরিবর্তন আনবে এবং বাংলাদেশসহ অনেক দেশের রপ্তানি খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।